দেশের মুদ্রাবাজারে আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনে লেনদেন চলছে পুরোদমে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। এদিন ইউরোর দাম কিছুটা কমলেও ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিংয়ের দাম কিছুটা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক মুদ্রার দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ ওঠানামা করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, আজ দেশের মুদ্রা বাজারে ডলারের সর্বনিম্ন দাম ধরা হয়েছে ১২১ টাকা ৪৩ পয়সা এবং সর্বোচ্চ দাম ধরা হয়েছে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন ডলারের গড় বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সায়।
আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের মুদ্রাবাজারে ব্রিটিশ পাউন্ড স্টারলিং কেনার ক্ষেত্রে দাম ধরা হয়েছে ১৬৪ টাকা ৫৫ পয়সা এবং বিক্রির ক্ষেত্রে দাম ধরা হয়েছে ১৬৪ টাকা ৬৮ পয়সা। ইউরো কেনার ক্ষেত্রে দাম ধরা হয়েছে ১৪২ টাকা ০৪ পয়সা এবং বিক্রির ক্ষেত্রে দাম ধরা হয়েছে ১৪২ টাকা ১৪ পয়সা।
ভারতীয় রুপি কেনার ক্ষেত্রে দাম ধরা হয়েছে ১ টাকা ৩৮ পয়সা এবং বিক্রির ক্ষেত্রে প্রায় একই দাম ধরা হয়েছে। চীনা রেনমিনবি বা ইউয়ান কেনার ক্ষেত্রে দাম ধরা হয়েছে ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা এবং বিক্রির ক্ষেত্রে দাম ধরা হয়েছে ১৬ টাকা ৯০ পয়সা। জাপানি মুদ্রা ইয়েনের আজ ক্রয়মূল্য দশমিক ৮২ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য যৎসামান্য বেশি।
টাকার আন্তব্যাংক ও গ্রাহক পর্যায়ের বিনিময় হার নির্ধারণ করে ডিলার ব্যাংকগুলো, চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে। তবে বাজারে ভারসাম্য রাখতে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিলার ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রচলিত আন্তব্যাংক হারে ডলার কেনাবেচা করে থাকে।
সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যে হারে মুদ্রা বিনিময় করে, তার তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে ঢাকার আন্তব্যাংক বাজারে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বিনিময় হারের পাশাপাশি অন্য মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারিত হয়েছে নিউইয়র্ক ও ঢাকার সমাপনী হারের ভিত্তিতে।