হোম > অর্থনীতি

ফের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আবারও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ছাড়ের পর আমদানির ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভ্যাট ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করেছিল। গতকাল শুক্রবার থেকে সেই মওকুফ সুবিধা উঠে গেছে। এতে ভোজ্যতেলের দাম আবার বাড়বে বলেই জানিয়েছে আমদানিকারক ও পরিশোধন প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা-১) দাউদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যাটের বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজ করছেন। আগামীকাল রোববার অফিস খোলার পর বিষয়টি সমাধা হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টিকে গ্রুপের পরিচালক (অর্থ ও অপারেশন) শফিকুল আথহার তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের জন্য এসআরও জারি ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নতুন করে সময় না বাড়ানোয় তাঁরা আজ শনিবার ১৫ শতাংশ ভ্যাট রেখেই তেল সরবরাহ করেছেন। এতে বাজারে দাম ১০ শতাংশ হারে বাড়বে বলে জানান তিনি।

ভোজ্যতেলের ওপর আরোপিত ভ্যাট ছিল ১৫ শতাংশ। ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় চলতি বছরের মার্চে ভ্যাট ১০ শতাংশ কমানো হয়। অর্থাৎ ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ ছিল। গতকাল শুক্রবার থেকে সেই রেয়াতি ভ্যাট সুবিধা উঠে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রজ্ঞাপনে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের এ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।

গত ১৪ মার্চ এনবিআর প্রজ্ঞাপন দিয়ে সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে। এর দুই দিন পরে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। তখন এর মেয়াদ ঠিক করা হয় ৩০ জুন পর্যন্ত। এরপর এনবিআর ৩ জুলাই আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ভ্যাট মওকুফ সুবিধার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করে। শুক্রবার সেই মেয়াদ শেষ হলেও মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এনবিআর এখন পর্যন্ত নতুন কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। 

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বিবেচনায় কর মওকুফ সুবিধা চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ভোট ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে ২০ লাখ টন। এরমধ্যে ২ লাখ টন দেশে উৎপাদন হয় এবং অবশিষ্ট ভোজ্যতেল আমদানির মাধ্যমে চাহিদা পূরণ হয়ে আসছে। বর্তমানে সিটি মেঘনা, এস আলম, টিকে, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল মিল লিমিটেডসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চাহিদা পূরণ করছে।

বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা। বোতলজাত ১৯২ টাকা, পাম তেল লিটারপ্রতি ১৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল আরও এক মাস

তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ফুটি কার্পাসে নতুন সম্ভাবনা

১ জানুয়ারি কার্যকর: দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল বাড়ল ৫ শতাংশ

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর: ফসল ব্যবস্থাপনায় উত্তরের চার জেলায় কৃষির নতুন প্রকল্প

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল যেন গুদামঘর

কক্সবাজারে এমজিআইয়ের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স

ষষ্ঠবারের মতো এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ডিবিএল গ্রুপ

আরও কমেছে পেঁয়াজ আলু ও সবজির দাম

জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের ই-রিটার্ন দাখিলে এনবিআরের হেল্প ডেস্ক

আকাশপথে পণ্য পরিবহনে অফডক চান ব্যবসায়ীরা