হোম > অর্থনীতি

‘প্রতিযোগিতায় ঠেলে দিলে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা নিঃশেষ হয়ে যাবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা মূলত নিজেদের জীবন ধারণের জন্য মাছ ধরেন। তাঁদের সক্ষমতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করলে মৎস্য খাত উপকৃত হবে। কিন্তু তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিশিংয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ঠেলে দিলে তাঁরা নিঃশেষ হয়ে যাবে। দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে মৎস্য বিষয়ক বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রস্তাবিত খসড়া বাংলাদেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে বাধা তৈরি করবে। 

আজ রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ডব্লিউটিওর লক্ষ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, অন্যায্য করপোরেট বাণিজ্যের পথ তৈরি নয়’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। সেমিনার আয়োজন করে ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইক্যুইটিবিডি)। সহযোগী আয়োজক কোস্ট ফাউন্ডেশন এবং আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইজ নট ফর সেল। আগামী ২৬ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ডব্লিউটিওর ১৩ তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন (এমসি ১৩) হওয়ার কথা রয়েছে। 

মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান ড. মুহাম্মদ তানভীর হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তার জন্য নির্ধারিত কোটা বৈশ্বিক মৎস্য আহরণের ০.৮% এর বেশি ইতিমধ্যে আহরণ করেছে। কাজেই বাংলাদেশ মৎস্য খাতে ভর্তুকি দিতে পারবে না। তবে, মৎস্য বিষয়ক চুক্তি বলবৎ হওয়ার জন্য যতগুলো দেশের স্বাক্ষর করার কথা, আগামী দুই বছরের মধ্যে তারা সবাই স্বাক্ষর না করলে এই বাধ্যবাধকতা থাকবে না। 

ইক্যুইটিবিডির সচিবালয় সমন্বয়ক সৈয়দ আমিনুল হক তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা কী ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করবে, তার চেয়েও বড় কথা বাংলাদেশ নিজে মৎস্য নিয়ে কী পরিকল্পনা করছে এবং তার প্রস্তুতি কী? উন্নয়নশীল দেশ হয়ে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়ার আগে আমরা নিজেরা যদি মৎস্য খাতে সঠিক পরিকল্পনা করতে পারি তাহলেই আমাদের লাভ।’ 

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘স্বল্পোন্নত বা উন্নত দেশের এই বিভাজনটাই অনৈতিক। সবাই কোনো না কোনোভাবে উন্নয়নশীল দেশ। স্বল্পোন্নত বলে তার আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ পরিচয় অস্বীকার করেছিল। তবে ১৯৭৫ সালে বাধ্য হয়ে আমরা এই পরিচয় গ্রহণ করেছি। বিশ্ব বাণিজ্যের সুবিধা ও ক্ষমতা কাঠামোর জন্য এসব বিভাজন করে অল্প আয়ের দেশগুলোকে এভাবে বঞ্চিত করা হয়।’ 

কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন—সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তা, কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক সনত কুমার ভৌমিক এবং ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক অনু। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের বরকত উল্লাহ মারুফ।

তেল-পেঁয়াজে দাম বাড়তি, সবজিতে ফিরছে স্বস্তি

উত্তরা ব্যাংকের ২৫০তম শাখার উদ্বোধন

টানা চার মাস কমল রপ্তানি আয়

৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিল সিগারেট কোম্পানি

১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা শুরু রোববার

প্রশান্ত মহাসাগরে দুই প্রকল্পের অনুমোদন দিল এডিবি-বিশ্বব্যাংক

এক ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি টাকা জরিমানা

১৪টি বন্ধ পাটকল বেসরকারি খাতে, আরও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

মেট্রো রেলস্টেশনে ৯টি সুপারস্টোর চালু করবে এমজিআই

জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৬তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত