বেশ কিছুদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে গতকাল মঙ্গলবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চাঙা পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাপট দেখা যাচ্ছে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে কারসাজির শেয়ার হিসেবে পরিচিত লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের। কয়েক দিন ধরেই দর বাড়ছে শেয়ারটির। ১১ জুনে ৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়া শেয়ার ৭১ টাকা ছাড়িয়েছে।
একই দিন থেকে ক্রমাগত দর বেড়েছে বিচ হ্যাচারির। এই কোম্পানির শেয়ারদরও কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছে বলে আলোচনা রয়েছে। গতকাল প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি বেড়ে শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ২০ পয়সায়।
লাগাতার দর বাড়ছে লোকসানি দুলামিয়া কটনের। লভ্যাংশ দিতে না পারলেও মাঝেমধ্যে অদৃশ্য কারণে আকাশচুম্বী হয় কোম্পানিটির শেয়ারদর, যা কারসাজির মাধ্যমে হয়ে থাকে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে কোম্পানির শেয়ারের দাম ঠেকেছে ৬২ টাকা ৬০ পয়সায়।
কয়েক দিন ধরে দর বাড়ার তালিকায় থাকা লোকসানি ফু-ওয়াংয়ের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। ৯ শতাংশ দর বেড়েছে জেড ক্যাটাগরিতে থাকা বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্বল কোম্পানির রমরমা দেখা যাচ্ছে। লেনদেনের ৮০ শতাংশই ওই সব কোম্পানির।
এসব কোম্পানির দরবৃদ্ধিকে কারসাজি বলে চিহ্নিত করেন আবু আহমেদ। তিনি বলেন, এগুলো জুয়া খেলা। যেসব কোম্পানির অস্তিত্ব নেই, ফাংশন করে না, ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারে না, সেগুলোর শেয়ারের দাম কোথায় (ওপরে) নিয়ে যায়!
গতকাল লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২৩৭টির দর বেড়েছে, ১১১টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৫টির। এতে দিন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৯৪ পয়েন্টে। এ নিয়ে ১২ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ১৬ কর্মদিবসের ১৪ দিন উত্থানে যোগ হলো প্রায় ৫২৫ পয়েন্ট। ডিএসই সূচক এর চেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল গত ১৩ মে, ৫ হাজার ৬৬৬ পয়েন্টে।
দিনভর হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ১৯ কোটি টাকার শেয়ার। এর আগে গত ৭ মে লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর পার করেছিল। তারপর গত দুই মাস হাজারের নিচেই ঘোরাফেরা করছিল।