হোম > অর্থনীতি

এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতীকী ছবি

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা পদক্ষেপে সামান্য স্বস্তি এসেছে বাজারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগের মাস মার্চে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত বছরের এপ্রিলের তুলনায়ও মূল্যস্ফীতি কমেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শুধু সার্বিক মূল্যস্ফীতিই নয়, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত মিলেছে।

আজ সোমবার প্রকাশিত বিবিএসের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে এপ্রিলে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে। এর আগের মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি নেমেছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশে, যা গত মার্চ মাসে ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির এই হার অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলে, তা সহজভাবে বোঝাতে গেলে বলা যায়—গত বছরের এপ্রিল মাসে যে পণ্য ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, তা কিনতে এবার ১০৯ টাকা ১৭ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। অর্থাৎ, একই পণ্যের জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ৯ শতাংশ বেশি।

মূল্যস্ফীতিকে অনেক অর্থনীতিবিদ এক ধরনের পরোক্ষ কর হিসেবে বিবেচনা করেন। কারণ, যদি আয়ের সঙ্গে খরচের সামঞ্জস্য না থাকে, তাহলে অনেক পরিবারকে ধারদেনায় পড়তে হয় কিংবা খাবার, পোশাক, চিকিৎসা, যাতায়াত খাতে কাটছাঁট করতে হয়।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তেল, পেঁয়াজ, ডিম, আলুসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্ক-কর হ্রাস করেছে। একই সঙ্গে বাজারে আমদানি স্বাভাবিক রাখতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে গড় আয়ের একটি বড় অংশ চলে যায় খাবার কেনার পেছনে। গরিব মানুষের ক্ষেত্রে এই চিত্র আরও প্রকট। অনেক দরিদ্র পরিবার আয়ের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ব্যয় করে শুধু খাদ্যপণ্যে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ কিছুটা কম মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভব করেছে। গ্রাম এলাকায় এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ, যেখানে শহর এলাকায় ছিল ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

মার্চ মাসের তুলনায় উভয় ক্ষেত্রেই মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। মার্চে গ্রামে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শহরে ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

২০২৪ সালের মে থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি। ২০২৩ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিবিএস জানায়, দেশের ৬৪টি জেলার ১৫৪টি হাট-বাজার থেকে নির্ধারিত সময়ের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির সূচক (সিপিআই) নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিবিএসের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইং প্রতি মাসে দেশের ৬৪টি জেলা থেকে প্রায় ৬৩টি পেশার মজুরি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে মজুরি সূচক নির্ধারণ করে থাকে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুর দিকে, অর্থাৎ গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ—যা ছিল গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে শীত মৌসুমে শাকসবজি, ডিম, পেঁয়াজসহ নানা পণ্যের দাম কমায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত কমেছে। এপ্রিল মাসে তা আরও নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশে।

তেল-পেঁয়াজে দাম বাড়তি, সবজিতে ফিরছে স্বস্তি

উত্তরা ব্যাংকের ২৫০তম শাখার উদ্বোধন

টানা চার মাস কমল রপ্তানি আয়

৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিল সিগারেট কোম্পানি

১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা শুরু রোববার

প্রশান্ত মহাসাগরে দুই প্রকল্পের অনুমোদন দিল এডিবি-বিশ্বব্যাংক

এক ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি টাকা জরিমানা

১৪টি বন্ধ পাটকল বেসরকারি খাতে, আরও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

মেট্রো রেলস্টেশনে ৯টি সুপারস্টোর চালু করবে এমজিআই

জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৬তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত