ঢাকা: স্বর্ণের পাশাপাশি আকরিক, অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির সুযোগ দিচ্ছে সরকার। এছাড়া দেশেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে স্থাপন করা যাবে স্বর্ণ পরিশোধনাগার।
এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্বর্ণ নীতিমালার সংশোধিত খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সংশোধিত নীতিমালায় স্বর্ণ পরিশোধনাগারের সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোনটা স্বর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে, কোথায় কোথায় পরীক্ষা করা যাবে তা বলা হয়েছে। স্বর্ণবার ও স্বর্ণালঙ্কারের পাশাপাশি অপরিশোধিত স্বর্ণ, আকরিক এবং আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি করা যাবে। শুধুমাত্র স্বর্ণ নয়, কয়লাও আনা যাবে। অপরিশোধিত স্বর্ণ বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ থেকে বিভিন্ন গ্রেডের স্বর্ণবার তৈরি করতে পারবে।
স্বর্ণ পরিশোধানাগার স্থাপন ও পরিচালনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি মান ঠিক করে দেবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বর্ণবার রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের অবশ্যই স্বর্ণ পরিশোধানাগার থাকতে হবে। নিজস্ব ব্যবসার উদ্যেশ্য স্বর্ণবার আমদানি ক্ষেত্রে জামানত প্রয়োজন হবে না বলে নীতিমালায় নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, শুধু স্বর্ণ নয় অন্যান্য দামি দ্রব্যও এটার সাথে যেন সম্পৃক্ত করা হয়। কারণ সেগুলোর সাথে অনেক বাই প্রোডাক্ট থাকে।
‘এখানে শ্রম সস্তা তাই বাই প্রোডাক্ট আসলে অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তৈরি হবে। এসব বাই প্রোডাক্টের আন্তর্জাতিক বাজারও রয়েছে। যেমন- হীরা কেটে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। এসব দ্রব্যের অনেক বাই প্রোডাক্টও পাওয়া যায়।’
বাংলাদেশ স্বর্ণ পরিশোধনাগারের তালিকায় নেই জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করলে এই তালিকায় আমরা আসতে পারবো। সেক্ষেত্রে বাইরের অনেক বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিও এখানে আসবে।