ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মাদক সম্রাজ্ঞী তসলিমা বেগম (৩০)। বিয়ের ছয় বছর পর মাদক কারবারি স্বামী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এর পর থেকে স্বামীর মাদক কারবার সামলাচ্ছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি মাদক মামলা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে মাদক ও টাকা উদ্ধার করলেও কোনোবার তসলিমাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
অবশেষে সাত বছর পর সফল হয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করেছে বালিয়াডাঙ্গী থানা-পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে মাদক বিক্রির ১ লাখ ৯ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, তসলিমা বেগম উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রামের কুখ্যাত মাদক কারবারি আক্তাবুল ইসলামের স্ত্রী। স্বামী মারা গেলেও তিনি এলাকায় মাদকের বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হোদা বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আগের চারটি মামলা রয়েছে। আজ বালিয়াডাঙ্গী পুলিশের করা মামলা নিয়ে পাঁচটি মামলা হয়েছে। বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৩ মে ভোরবেলা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাতারমাড়ী ফার্ম নামের স্থানে বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ থানার যৌথ অভিযানে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান মাদক কারবারি আক্তাবুল ইসলাম।