ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নকল সোনার পুতুল ও রুপার মুদ্রা দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সোনালি রঙের মূর্তি, পুরোনো নকশার রুপার মুদ্রা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাণীশংকৈল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাদিরুল মুরাদ বলেন, সোমবার বিকেলে গোপন সূত্রে জানা যায়—উপজেলার কোচল গ্রামের মো. রুবেলের বাড়িতে কয়েকজন প্রতারণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা সাধারণ মানুষকে সোনার পুতুল ও রুপার মুদ্রা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অগ্রিম টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে—পাঁচটি সোনালি রঙের মূর্তি (প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১১ সেন্টিমিটার), ১৯টি সাদা রঙের পুরোনো নকশার মুদ্রা—যার মধ্যে ৯টিতে ‘ভিক্টোরিয়া কুইন’, ৫টিতে ‘অ্যাডওয়ার্ড সপ্তম রাজা ও সম্রাট’ এবং ৫টিতে ‘জর্জ পঞ্চম রাজা সম্রাট’ খোদাই করে লেখা রয়েছে। এ ছাড়া নগদ ১০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে মো. রাশেদুল (৩৬), তাঁর ভাই মো. শফিক আল মামুন (৪০), একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মো. এছাব্বর আলী (৪৫), গড়েরপাড়া গ্রামের মো. অজউদ্দীনের ছেলে মো. মানিক মিয়া (৩৮) এবং ছয়ঘরিয়া গ্রামের মো. মমতাজের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন (২৮)।
পলাতক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কোচল গ্রামের মো. রুবেলের স্ত্রী মোছা. রুপালি (৩৬), একই গ্রামের মৃত বারেকের ছেলে মো. মারুফ (২৬) এবং আরও পাঁচ-ছয়জন অজ্ঞাতনামা সহযোগী।
এসআই বলেন, উদ্ধার হওয়া এসব নকল মূর্তি ও মুদ্রা প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। আসামিরা মানুষকে বিশ্বাস করিয়ে অগ্রিম টাকা হাতিয়ে নিতেন।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪১৭/৪২০/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। অগ্রিম টাকা দিয়ে সোনার পুতুল ও রুপার মুদ্রা পাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে অনেক মানুষকে প্রতারিত করেছেন তাঁরা। পলাতক ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।