টাঙ্গাইলের সখীপুরে গত দুই মাসে অন্তত চারটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। চোর ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) সখীপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর তালুকদার পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে ১৭টি ফিডারের আওতায় পার্শ্ববর্তী আট উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সম্প্রতি সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী ও ঢাকা-সখীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালী এলাকার ট্রান্সফরমারসহ অন্তত চারটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এ ছাড়া ৫ অক্টোবর গভীর রাতে উপজেলার বহুরিয়া মধ্যপাড়া এবং গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কচুয়া পুকুরপাড় এলাকার ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। নিয়মিত ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের মধ্যে শঙ্কা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি বছরের গত ৯ মাসে এই উপজেলার অন্তত ১২টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।
বোয়ালী গ্রামের গ্রাহক লিটন তালুকদার বলেন, সড়কের পাশে একটি খুঁটিতে ট্রান্সফরমার লাগানো ছিল। সকালে উঠে দেখা যায়, খুঁটির চারপাশের ঝোপঝাড়ে ট্রান্সফরমারের ওপরের খোসা পড়ে রয়েছে। ভেতরের মূল্যবান তার ও যন্ত্রাংশ নিয়ে গেছে চোর চক্র।
এ বিষয়ে সখীপুর পিডিবির (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর তালুকদার বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চুরির খবর পেয়ে গভীর রাতে নিজে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই, কিন্তু চোর চক্রের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। চুরি ঠেকাতে পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয়ে অতিরিক্ত পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়া জনসচেতনতায় মাইকিং ও মসজিদের ইমামদের মাধ্যমেও সচেতন করা হচ্ছে। চোর ধরিয়ে দিতে পারলে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।’ স্থানীয় ব্যক্তিরা সচেতন হলে চুরি ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করেন বিদ্যুৎ বিভাগের এই কর্মকর্তা।