টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে শহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক স্বামী শহিদুলকে শায়েস্তা করতে যুবদল নেতাকে ভাড়া করেন নাসরিন বেগম নামের এক নারী। ঘটনার পর পুলিশ নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ রোববার সকালে শহিদুলের বোন আলেয়া বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে শহিদুলের সাবেক স্ত্রী নাসরিন, যুবদল নেতা সকাল মাহমুদ, রবিন শেখ, ছাত্রদল নেতা তৌফিক ওমরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত নির্মাণশ্রমিক শহিদুল ইসলামের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে। তিনি মির্জাপুরের গোড়াই জোড়পুকুর পাড় এলাকায় থেকে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে শহিদুলের সাবেক স্ত্রী নাসরিনের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পারদিঘী গ্রামে।
গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, শহিদুলের সঙ্গে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী নাসরিনের কয়েক মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়। কিন্তু সংসার করার সময় তাঁদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ও ভিডিও শহিদুলের মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছিল। বিচ্ছেদের পর সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শহিদুল নাসরিনকে অনৈতিক কাজ করতে চাপ দিচ্ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শহিদুলের মোবাইল ফোনে থাকা ছবি ও ভিডিও উদ্ধারের জন্য গোড়াই ইউনিয়ন যুবদলের দপ্তর সম্পাদক সকাল মাহমুদসহ যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলের কয়েকজন নেতাকে ভাড়া করেন নাসরিন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে যুবদল নেতা সকাল মাহমুদের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিন শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌফিক ওমরসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা জোড়পুকুর পাড় এলাকায় গিয়ে শহিদুলকে এলোপাতাড়ি পেটায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার পথে শহিদুল মারা যান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহত ব্যক্তির সাবেক স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।