সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় এক স্কুলশিক্ষকের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃদুল চন্দ্র সরকার (৩২) নামে ওই স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার মৃদুল চন্দ্র সরকারকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মৃদুল নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার চানপুর গ্রামের মৃত যামিনী চন্দ্র সরকারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের পাঠকুড়া গ্রামে গতকাল শনিবার ওই স্কুলশিক্ষক স্ত্রীকে ঘরে রেখে তালা দিয়ে বিদ্যালয়ে যান। সেখান থেকে এসে দেখেন ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় স্ত্রীর মরদেহ ঝুলছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই নীহার চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে ওই স্কুলশিক্ষককে প্রধান এবং তাঁর মা ও ভাইকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৃদুল চন্দ্র সরকার। তিনি প্রায় ছয় মাস আগে শাল্লা উপজেলার আনোয়ারহু গ্রামের নিখিল চন্দ্র দাশের মেয়ে চম্পা রানি দাশকে বিয়ে করেন। চাকরির সুবাদে স্ত্রীকে নিয়ে পাঠকুড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ওঠেন। গতকাল শনিবার স্ত্রী চম্পা রানি দাশকে ঘরে রেখে বাইরে তালা দিয়ে তিনি বিদ্যালয়ে চলে যান। বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো স্ত্রীর মরদেহ ঝুলছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী নীহার চন্দ্র দাশ বলেন, ‘বিয়ের এক মাস পর বোনজামাই জায়গা কিনবে বলে আমার বোনকে মারধর করে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তখন আমরা ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। দুই দিন আগে আমার বোন টাকার জন্য স্বামী নির্যাতন করছে বলে মুঠোফোনে জানান। আমার বোনকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’