সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন জেলা কমিটিকে ‘অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অস্বচ্ছ’ আখ্যা দিয়ে একযোগে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির ৫০ নেতা। আজ রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ইয়াসির আরাফাত ইশান, যুগ্ম আহ্বায়ক আসির ইন্তেসার অয়ন, টি এম মুশফিক সাদ, রাহাত তালুকদার, সাদমান জাহিন, আধাম আদৃত, সংগঠক যুবায়ের আল ইসলাম সেজান, সিনিয়র সহমুখপাত্র সাদিয়া আহমেদ সিনহা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আঞ্জারুল ইসলাম প্রমুখ।
পদত্যাগকারী নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কমিটি আগের বৈধ আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত না করেই ‘একতরফাভাবে পকেট কমিটি’ ঘোষণা করেছে।
নতুন কমিটিতে নীতি-আদর্শবিরোধী ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের স্থান দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, কমিটি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। পুরো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গোপনে, যা সংগঠনের মূলনীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী।
এ সময় তাঁরা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রের একটি কপি তুলে ধরেন। পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, নারীসংক্রান্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ড, মাদকসংশ্লিষ্টতা এবং প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার মতো অভিযোগ রয়েছে। এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে একই কমিটিতে থাকা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও জানান তাঁরা।
এর আগে গতকাল শনিবার ১২-১৫ জন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
গত শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি সিরাজগঞ্জের ২০৪ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বার্তা প্রকাশ করে। এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান মো. মুনতাছির হাসান মেহেদী, সদস্যসচিব মাসুদ রানা, মুখ্য সংগঠক সালমান জোয়ারদার ও মুখপাত্র হন রাজিয়া ভূঁইয়া রাজিতা। কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ, মুখ্য সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি প্রকাশ করা হয়।