দীর্ঘ ১৬ বছর পর পুনরায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শরীয়তপুর জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
এ সময় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মিতু আক্তার, ডা. হোসনে আরা রোজী, ডা. আকরাম এলাহি, ডা. রফিকুল ইসলাম মামুন, ডা. ইকবাল, ডা. কনক জ্যোতি মণ্ডল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ব্লাড ব্যাংক চালু হওয়ায় এখন থেকে রোগীরা জরুরি রক্তের চাহিদা মেটাতে আর ভোগান্তিতে পড়বেন না। এতে রোগীর সেবার মান বাড়বে এবং বাইরের সিন্ডিকেটের হয়রানি থেকে মুক্তি পাবেন। এখানে উন্নতমানের ফ্রিজ রয়েছে, যেখানে ২৮ দিন পর্যন্ত রক্ত সংরক্ষণ করা যাবে।’
চিকিৎসকেরা জানান, নতুন এই ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে এখন থেকে রোগীরা হাসপাতালেই নিরাপদ ও পরীক্ষিত রক্ত পাবেন। আগে রোগীর আত্মীয়দের রক্তের ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংক বা ডোনার গ্রুপে যোগাযোগ করতে হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল ছিল। এখন অস্ত্রোপচার, প্রসূতিসেবা, দুর্ঘটনা ও রক্ত স্বল্পতাজনিত রোগীর জন্য দ্রুত রক্ত সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্লাড ব্যাংক চালু থাকলে জরুরি সিজারিয়ান বা অপারেশন বিলম্ব ছাড়াই করা যাবে। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক জটিলতা হ্রাস পাবে। দুর্ঘটনা বা ডেঙ্গু রোগীর জীবন বাঁচানোর সুযোগ বাড়বে। জেলা পর্যায়ে রক্ত ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ ও সহজ হবে।
তবে জানা গেছে, এর আগেও এই হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক চালু করা হয়েছিল। জনবলসংকটের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৬ বছর পর পুনরায় আবারও ব্লাড ব্যাংক চালু করা হলো। ব্লাড ব্যাংকের জন্য দুটি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদায়নের কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। এতে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।