সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়ক এখন ভোগান্তির আরেক নাম। সড়কটি সংস্কারের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি উন্নয়নকাজ চলছে। এরই মধ্যে চার বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। জায়গায় জায়গায় গর্ত রয়েই গেছে। সড়কটি সচল রাখতে আর দুর্ঘটনা এড়াতে নামমাত্র জোড়াতালি দেওয়া হচ্ছে। একদিকে ধীরগতিতে চলা উন্নয়নকাজের কারণে ধুলাবালু, অন্যদিকে সড়কের নানা জায়গার গর্তে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে চার উপজেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষ।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণের এই প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৬২ দশমিক ৩২৫ কিলোমিটার। উন্নয়নকাজে বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ৫৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে লাবণী মোড় থেকে বাঁকাল চেকপোস্ট, বাঁকাল চেকপোস্ট থেকে পারুলিয়া গরুরহাট, পারুলিয়া থেকে হাদীপুর, নলতা হাদীপুর থেকে কালীগঞ্জ ফুলতলা, কালীগঞ্জ ফুলতলা থেকে শ্যামনগর মহসিন কলেজ, শ্যামনগর মহসিন কলেজ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে সড়কটি। প্রকল্পটির কার্যাদেশে বলা আছে, প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, দীর্ঘদিনের অবহেলায় সড়কে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির সময় এসব গর্তে পানি জমে থাকে। তখন সড়কটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। শ্যামনগর ও সুন্দরবনের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ঠিক রাখতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, আলিপুর বাজার, আলিপুর শ্মশান, কুলিয়াসহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৬টি স্থানে ইটের সোলিং করে চলাচলের ব্যবস্থা নিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম সরোয়ার, আয়ুব হোসেন, আব্দুস সালামসহ কয়েকজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ সময় পর সাতক্ষীরা-শ্যামনগর মহাসড়কের কাজ শুরু হলেও তা চলছে ধীরগতিতে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে। গর্ত আর ধুলাবালুর কারণে সড়কে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ না হলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
গাড়িচালক মিলন হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও হযরত আলী বলেন, একদিকে রাস্তা খারাপ, অন্যদিকে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এতে দিনের বেলায় যানজট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার সাতক্ষীরা-শ্যামনগর মহাসড়কের সংস্কারকাজ আগামী জুন মাসে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে। তবে আরও এক বছর লেগে যেতে পারে।