দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরের মিঠাপুকুরে উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা বাছাই করে নেওয়া হবে। এই নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৬টি পদে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামীকাল শনিবার বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। শেষ সময়ে আজ শুক্রবার ভোট চাইতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
এই উপজেলায় এবারই প্রথম ঘটা করে গোপন ব্যালটে নেতা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ১ হাজার ২০৭ জন ভোটার ভোটের মাধ্যমে তাঁদের নেতা বেছে নেবেন। শেষ সময়ে এসে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে। তাঁদের সঙ্গে করছেন মতবিনিময়। চলছে মাইকে নির্বাচনী প্রচার। উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের হাটবাজার এবং উপজেলা সদরের অলিগলি প্রার্থীদের রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে। কারা হবেন উপজেলা বিএনপির কান্ডারি, তা নিয়ে সরগরম রাজনীতির প্রাঙ্গণ।
রংপুর জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক লিটন পারভেজ স্বাক্ষরিত চিঠির সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৫ জুলাই) মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত রোববার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৬টি পদে ২১ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। পরের দিন গত সোমবার ২০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় ওই দিনই প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়া হয়। সভাপতি পদে প্রার্থীরা হলেন সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী ও সহকারী অধ্যাপক মো. সাজেদুর রহমান রানা। সিনিয়র সহসভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুল কাদের রুনু, হানিফ সরদার, মো. খাজানুর রহমান ও ফৌজিয়া ইয়াসমিন চুন্নু। সাধারণ সম্পাদক পদে মোতাহারুল ইসলাম নিক্সন ও হাবিবুর রহমান টিটুল লড়ছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল মোত্তালিব, নাজমুল হক ইমন, শফিকুল ইসলাম বাবুল ও দেলশাদ হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদের প্রার্থীরা হলেন আনারুল ইসলাম নয়ন, সুমন সরকার, সহকারী অধ্যাপক মোরশেদ হাসান সোহেল, হযরত আলী, সাইফুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম ও মনিরুজ্জামান মিঠু।
নির্বাচনী তফসিল মোতাবেক শনিবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে কর্মী সম্মেলন। এরপর বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. গোলাম রব্বানী। তিনি জানান, নির্বাচনে ১ হাজার ২০৭ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করবেন।