হোম > সারা দেশ > ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রেপ্তার–আতঙ্কে কার্যালয়ে নেই অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও সদর উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। গ্রেপ্তার–আতঙ্কে অনেক জনপ্রতিনিধি কার্যালয়ে আসছেন না। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন সেবাপ্রার্থীরা। 

পরিষদগুলোতে জনপ্রতিনিধিরা না এলেও সচিব ও ডিজিটাল সেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের অফিস করতে দেখা গেছে। আজ রোববার ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় নাগরিক সনদ নিতে যান শহরের হাজীপাড়ার বাসিন্দা হালিমা বেগম। তাঁর সনদে পৌর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষর করবেন, না মেয়র স্বাক্ষর করবেন—এ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। 

পৌরসভার হেল্প ডেস্কের তথ্য সেবাদাতা মনছুর আলী মনু বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অফিসে আসছি। মেয়র কবে আসবেন, তা বলতে পারব না। পৌর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়মিত অফিস করছেন। তবে মেয়র না থাকায় বিভিন্ন জটিলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’ 

শহরের শাহপাড়া থেকে আসা সাহেদ আলী বলেন, ‘পারিবারিক কলহে সালিস বৈঠকের জন্য মেয়রের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এখন তিনি না থাকায় অসুবিধার মধ্যে দিন কাটছে।’ 

বিভিন্ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌর মেয়র আঞ্জুয়ারা বেগম বন্যা আত্মগোপনে রয়েছেন। কার্যালয়ে আসছেন না জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল। তাঁর কার্যালয়ে হিসাবরক্ষণ দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘চেয়ারম্যান সাহেব ৫ তারিখের পর থেকে অফিসে আসেননি। তবে মাঝেমধ্যে ফোন করে খোঁজখবর নেন।’ এদিকে আব্দুল মজিদ আপেলের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার বিস্ফোরক আইনের মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাঁকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়। 

বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১ নম্বর আসামি ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এদিকে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার মাঝেমধ্যে অফিস করছেন। অন্যদিকে সদরের ২২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৩টির চেয়ারম্যান আত্মগোপনে আছেন। অফিস করছেন মাত্র ৯ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদরের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম কমিটির সভাপতি ও সালান্দর ইউপির চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরী। 

ফজলে এলাহী মুকুট আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধিকাংশ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ রাজনীতির মতাদর্শের হওয়ায় মামলা ও হামলার ভয়ে তাঁরা পরিষদে আসছেন না। কয়েকটি পরিষদ কার্যালয়ের অফিসকক্ষে ভাঙচুর, বেশ কিছু কম্পিউটার ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যুসনদ দেওয়ার কার্যক্রম অনেকটা বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা।’ 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সেবাপ্রত্যাশীরা কোনো দুর্ভোগে না পড়েন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর যেসব জনপ্রতিনিধি পরিষদে অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সারজিসের নগদ টাকা আছে ৩ লাখ ১১ হাজার, পেশায় ব্যবসায়ী

পীরগঞ্জে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দিলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা

কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন করতে দেব না, এটা আমাদের অঙ্গীকার: মির্জা ফখরুল

তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ গুদামে তালাবদ্ধ কম্বল

ভূরুঙ্গামারীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, যুবক নিহত

ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

পঞ্চগড়ে চার দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত

ফুলবাড়ীতে ট্রলির চাপায় সহযোগী নিহত

কাউনিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

বিশেষ ট্রেনের দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রেলপথ অবরোধ, ছেড়ে যায়নি লালমনি এক্সপ্রেস