ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আন্তরিকতার অভাবে থানাগুলোতে পুলিশি সেবা বন্ধ ছিল বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি। তিনি বলেছেন, ‘১৮৭৮ সালে থানা-পুলিশ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ২৪ ঘণ্টা থানাগুলো সার্ভিস দিয়ে গেছে। কিন্তু ’২৪-এর আন্দোলনের সময় এর ব্যত্যয় ঘটেছে। এ সময় মেধা ও দক্ষতার ঘাটতি ছিল না, ঘাটতি ছিল আন্তরিকতার।’
আজ শনিবার সকালে রাজশাহী পিটিআই মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাসিমুল গনি বলেন, ‘অসৎ লোকের কাজকর্মে কখনো সমাজ ধ্বংস হয় না, ধ্বংস হয় সৎ লোকের নীরবতায়। দেশের ৪০ শতাংশ হচ্ছে জেন-জি, তারাই ৩৬ জুলাই অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। তারা আমাদের কাছে সুবিচার প্রত্যাশা করে।’
স্বরাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মের চাহিদার মতো করে দায়িত্ব পালন করতে পারিনি। তারা যে সুবিচার চায়, তা শুধু বিচারকদের বিষয় নয়, সিভিল সার্ভিসে যাঁরা আছেন তাঁদের সবার জন্য এটা প্রযোজ্য। আর এ কাজের জন্য অ্যাটিচিউড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি চাকরি শুধু টাকা বানানোর মেশিন নয়, এটা হচ্ছে জনগণের প্রতি এবং স্রষ্টার প্রতি কর্তব্য পালন।’
বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারসহ বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।