নাটোরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারী যুবলীগের চার কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর সদর হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের আহত দুই সদস্য হলেন—হাসিবুল ইসলাম ও সেলিম রেজা। দুই কনস্টেবলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে আটককৃত যুবলীগের কর্মীরা হলেন—নাদিম, জনি, সাগর ও জাকির।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নাটোর সদর হাসপাতালের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে শহরের দিকে ফিরছিলেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় হাসপাতালের গেটের উল্টো পাশে সাদা পোশাকে থাকা নাটোর পুলিশ লাইনসের দুই কনস্টেবল মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে উভয়ের মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের সঙ্গে ওই পুলিশ কনস্টেবলদের কথা-কাটাকাটির শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা পরস্পরকে মারধর শুরু করে। এ সময় ওই দুই পুলিশ কনস্টেবল ও চারজন ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মী আহত হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা সেখানে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, ‘কনস্টেবল সেলিম রেজার মুখে ১০টি সেলাই লেগেছে। দুজনই রক্তাক্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা ৪ জনকে আটক করেছি।’
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘আহতদের মধ্যে দুই কনস্টেবলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’