নেছারাবাদের ৪৭ নম্বর পশ্চিম কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে বালুর স্তূপ রেখে ব্যবসা করছেন এক ব্যক্তি। বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির পাশে ও প্রধান ফটকের সামনে এভাবে বালুর স্তূপ করায় মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকেরা জানান, বাতাসে উড়ে আসা বালুর কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। শুধু তা-ই নয়, বালু ঢুকে নোংরা হচ্ছে ক্লাসরুম, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। এতে অ্যালার্জিসহ শরীরে নানা রোগের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেন, প্রতিদিনই ক্লাসরুমে বালুর স্তর জমে থাকে। বারবার পরিষ্কার করেও কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম রনি বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে একটি পুকুর ছিল। পুকুরটি ভরে এখন বালুর ব্যবসা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি নদীর পাশে। বাতাস এলে বালু উড়ে এসে শ্রেণিকক্ষ ময়লা হয়। ক্লাস করতে কষ্ট হয় বাচ্চাদের। বালুর কারণে মাঠে খেলতে পারে না শিক্ষার্থীরা।’
জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই স্কুলের পাশে বালু রেখে ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসার শুরুতে তিনি একটি টিনের বেড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে বেড়াটি খুলে ফেলা হয়। এতে চরম ভোগান্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে বিদ্যালয়ের ছোট শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমীন লিটন বলেন, ‘মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি স্কুলের পাশে বালুর ব্যবসা করছেন। এতে বিদ্যালয়ের অনেক সমস্যা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের পাশে এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা শিক্ষা কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই বালু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারিতা সরমিন বলেন, ‘বালু ব্যবসার শুরুতে তারা একটি টিনের বেড়া দিয়েছিল। এখন সেই বেড়া খুলে ফেলেছে। বাতাসে বালু এসে শ্রেণিকক্ষ নষ্ট হচ্ছে। বালুর কারণে খেলার মাঠ ব্যবহার করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এতে ক্রমেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।’
নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি এত দিন কেউ আমাকে জানায়নি। এভাবে বিদ্যালয়ের ক্ষতি করে ব্যবসা করতে পারবে না। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’