এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে এনসিপির সমঝোতার প্রশ্ন অবান্তর আর বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে দূরত্বের বিষয়টিও ঠিক নয়। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগবিহীন বাংলাদেশ রয়েছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নই অবান্তর। হাসনাত বলেন, ‘সংস্কারের পক্ষে যারা থাকবে তাদের সঙ্গে হৃদ্যতা হবে, আর সংস্কারের বিপক্ষে যারা তাদের সঙ্গে দূরত্ব।’
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) পিরোজপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্তগুলো নেয়, সে সিদ্ধান্তগুলোর কোনো নীতিমালা নেই। কোনো নীতিমালার মধ্য দিয়ে শাপলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তা কিন্তু স্পষ্ট করা হয় নাই। আবার কোনো নীতিমালার মধ্য দিয়ে বেগুনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সেটাও স্পষ্ট করেনি। আবার গতকাল দেখলাম যে শাপলা কলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এটা আসলে কোনো নীতিমালার ভিত্তিতে করেছে, সেটা স্পষ্ট নয় আমাদের কাছে। সেজন্য আমরা বারবার যেটি ফোকাস করছি, সেটি হচ্ছে নির্বাচন কমিশন এভাবে আসলে চলতে পারে না। তাদের নীতিমালা থাকতে হবে। এটা জনগণের প্রতিষ্ঠান। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নীতিমালা ভিত্তিতেই চলতে হবে। একটা নিয়মের ভিত্তিতে চলতে হবে। আমরা যেটি সব সময় ফোকাস করে আসছি, সেটি হচ্ছে, আমরা নির্বাচন কমিশনের নীতিমালাটা দেখতে চাই। যে নীতিমালার ভিত্তিতে তারা মার্কাকে অন্তর্ভুক্ত করে, আবার যে নীতিমালার ভিত্তিতে তারা অন্তর্ভুক্ত করে না আবার যে নীতিমালার ভিত্তিতে তারা বাদ দিয়ে দেয়—এই নীতিমালাটা আমাদেরকে দিতে হবে এবং এ বিষয়ে আমাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।’
বরিশাল বিভাগে তিন দিনের সাংগঠনিক সফর করছেন এনসিপির মুখ্য (দক্ষিণাঞ্চল) সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ প্রথম দিন সকাল সাড়ে ১০টায় পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা। সভাপতিত্ব করছেন পিরোজপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মশিউর রহমান।
সভায় এনসিপিকে আরও শক্তিশালী করাসহ সাংগঠনিক নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় শিগগিরই জেলা কমিটি ঘোষণা করার কথা বলা হয়েছে।