উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। গত দুই দিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর।
নিম্নচাপটি আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় জেলার পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আগামীকাল সকাল নাগাদ দক্ষিণ ওডিশা-উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যেকোনো সময় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক আবদুল জলিল হাওলাদার জানান, বৈরী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ইতিমধ্যে মাছ ধরার বেশির ভাগ ট্রলার আলীপুর মহিপুর শিববাড়িয়া নদীতে অবস্থান নিয়েছে।
কলাপাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি সিপিপির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান খান জানান, উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের চাপ অনেকটা বেড়েছে। থেমে থেমে মাঝারি আকারের বৃষ্টি হচ্ছে। পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের মিটিং করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া সিপিপির সব কর্মী দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।