পাবনার ঈশ্বরদীতে জনতা ব্যাংক পিএলসি পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) খালেদ সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ মিলছে না এবং তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে জনতা ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ জনতা ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখা থেকে ১ কোটি এবং দাশুড়িয়া শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন তিনি।
জনতা ব্যাংক দাশুড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ীই পাকশী শাখার ম্যানেজারকে ৩০ লাখ টাকা হস্তান্তর করা হয়। টাকা উত্তোলনের পর খালেদ সাইফুল্লাহ আর কর্মস্থলে ফেরেননি এবং দুপুরের পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার মোবাইল ফোনে জানান, খবর পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, টাকা নিয়ে নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তা খালেদ সাইফুল্লাহ জড়িত। তবে তিনি কোথায় আছেন, তা এখনো জানা যায়নি। অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) কাজ শুরু করছে।’
খালেদ সাইফুল্লাহর স্ত্রী দিলরুবা বেগম জানিয়েছেন, গতকাল সকালে বাসা থেকে ব্যাংকে যাওয়ার পর তাঁর স্বামীর সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। পরে বিকেলে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখার কর্মকর্তারা তাঁর বাসায় এসে খোঁজ করলে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি বর্তমানে ভীষণ চিন্তিত বলে জানান।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অ স ম আব্দুন নূর বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’