পাবনার ঈশ্বরদীতে রিটেইল মিটার বন্ধ করা এবং নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূরের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে গণ-অনশন করেছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। রোববার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা এ অনশন হয়। কর্মসূচির আয়োজন করে ঈশ্বরদী সম্মিলিত নাগরিক জোট।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে বাকি দুই দফা হলো—২০১ জন গ্রাহকের নামে মামলা প্রত্যাহার এবং মিটার রিডার নজরুল ইসলামের শাস্তি প্রদান।
ঈশ্বরদী শহরের রেলগেট বাস টার্মিনালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার গণ-অনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও সমাপ্তি ঘোষণা করেন সম্মিলিত নাগরিক জোটের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান পলাশ। স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্যসচিব আশিকুর রহমান লুলু।
এদিন বেলা ৩টায় ঈশ্বরদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান আন্দোলনকারীদের ফলের জুস ও পানি খাইয়ে গণ-অনশন কর্মসূচি ভাঙান। এ সময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গ্রাহকদের দাবির প্রতি তাঁর আন্তরিকতা প্রকাশ করে বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে আন্দোলনকারীরা মঞ্চ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা ও অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন।
এর আগে প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর ঈশ্বরদীতে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করা হয়। এ সময় গ্রাহকদের সঙ্গে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর বচসাকে কেন্দ্র করে ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূর মামলাটি করেন। প্রতিবাদে ২ নভেম্বর গ্রাহকসহ ২৫টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় চার দফার দাবি ঘোষণা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ নভেম্বর ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ সময় গণ-অনশনের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সম্মিলিত নাগরিক জোটের পক্ষ থেকে।