পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রিপেইডবিরোধী আন্দোলনকারী ২০১ জন বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিরুদ্ধে ‘মব সৃষ্টির’ মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন নেসকো ঈশ্বরদী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর নূর। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রিপেইড মিটারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী পাকশী রেলওয়ে কলেজের শিক্ষক আ ফ ম রাজিবুল আলমকে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিবাদী রাজিবুল আলম ইভানের নেতৃত্বে দুই শতাধিক ব্যক্তি অফিস চত্বরে মব ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও স্থাপন করা মিটারগুলো খুলতে বাধ্য করেন। এ সময় অফিসের গ্লাসসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়। এতে ক্ষতির মূল্য ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।
এদিকে নেসকোর পক্ষ থেকে কলেজশিক্ষকসহ ২০১ জনের নামে মামলা হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এখানকার গ্রাহকেরা। এর প্রতিবাদ জানাতে আগামী রোববার সকালে আবারও গ্রাহক সমাবেশ ও মানববন্ধন আহ্বান করা হয়েছে। এ নিয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্দোলনের আরও এক সংগঠক মাহবুবুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে ও আশিকুর রহমান লুলুর সঞ্চালনায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত সবাই ২০১ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও প্রিপেইড মিটার স্থাপন কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানান।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নূর মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রিপেইড মিটারবিরোধী আন্দোলনের দিন নেসকো অফিস ভাঙচুর, নেসকো নির্বাহী প্রকৌশলীকে হেনস্তাসহ ৬৫ হাজার টাকা ক্ষতির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঈশ্বরদীতে গত বুধবার গ্রাহকের পক্ষ থেকে ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও ও মানববন্ধন করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ রাখা হবে বলে একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন। এর আগে অফিসে গ্রাহকদের সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলীর ঝগড়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।