নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়ন-সংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলারচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহত মোবারক হোসেন সিহাবের চাচা ও নিখোঁজ সামছু গ্রুপের সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার বাদী আবুল বাশার জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত তাঁর ভাতিজা মোবারক হোসেন সিহাবের লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করতে সময় লাগায় মামলা করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
নিহত সিহাবের মা ও সামছু বাহিনীর প্রধান মো. সামছুদ্দিন ওরফে সামছুর স্ত্রী মাহফুজা বেগম অভিযোগ করেন, স্থানীয় কিছু লোক তাঁর স্বামীকে চরে জমি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান। পরে আর তাঁকে ফেরত দেননি। খবর পেয়ে পরদিন ছেলে সিহাব তাঁর বাবাকে ফিরিয়ে আনতে জাগলারচরে যান। কিন্তু তিনি আর জীবিত ফিরে আসেননি।
সামছুর বড় ছেলে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি সেখানে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এখনো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। প্রশাসন আমার বাবার লাশ উদ্ধারে অথবা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ঘটনার মূল হোতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, নিখোঁজ সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।