নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কোরবানির পশুর হাটে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে। তিন দিনের টানা বৃষ্টির কারণে হাটগুলোয় গরু নিয়ে বিক্রেতারা এলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা নেই। এতে বিক্রেতা ও হাটের ইজারাদারেরাও পড়েছেন বিপাকে।
শুক্রবার বিকেলে শিবগঞ্জ পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গরু নিয়ে হাটে আসছেন অনেকেই, কিন্তু বৃষ্টির কারণে হাটে ব্যাপারী বা ক্রেতার উপস্থিতি কম। তিন দিন ধরে হওয়া বৃষ্টির কারণে পশুর হাটগুলো ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতারা হতাশ। যা-ও দু-একজন ক্রেতা আসছেন, তাঁরাও দরদাম করে না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
সাইদুল রহমান নামের এক গরু বিক্রেতা বলেন, ‘আমি গরু নিয়ে বাজারে এসে বিপাকে পড়েছি; কারণ, ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গা থেকে পাইকারেরা এখানে আসতেন, তাঁরা আজ বৃষ্টির কারণে আসতে পারেননি।’
মো. দুলাল মিয়া নামের আরেকজন বলেন, ‘আমি আমার চারটা গরু নিয়ে এসেছি, কিন্তু হাটে বেচাবিক্রি হইতাছে না। বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম থাকায় গরুর দামও বেশি উঠছে না।’
সাঈদ নামের এক ক্রেতা বলেন, বৃষ্টির কারণে গরু পছন্দ করতে পুরো বাজার ঘুরে দেখা সম্ভব হচ্ছে না, তাই গরু কেনা হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা এম এ জিন্নাহ বলেন, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী হাট। প্রতিবছর বাইরে থেকে অনেক ব্যবসায়ী এখান থেকে গরু কিনে নিয়ে যান; বর্তমানে বৃষ্টির কারণে তাঁদের উপস্থিতি নেই।
শিবগঞ্জ গরু হাটের ইজারাদার মো. শাহ আলম বলেন, ‘আজকের এই হাটে আশা করেছিলাম, সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা আমাদের কালেকশন হবে; কিন্তু বৃষ্টির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা কম। তুলনামূলক গরুও কম উঠেছে। যদি আবহাওয়া ভালো থাকত, তাহলে আমাদের টার্গেট পূরণ হতো।’
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরে এবার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ২৫টি পশুর হাট বসবে বলে জানা গেছে।