নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গুজিরকোনা গ্রামের ৫২ বছর বয়সী খায়রুল বাসার। ১৯৯৩ সালে এসএসসি ও ১৯৯৫ সালে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। তবে ইচ্ছা থাকলেও পারিবারিক সমস্যার কারণে আর পড়াশোনা করতে পারেননি। একটি এনজিওতে চাকরি নিয়ে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন। দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক তিনি। তার বড় মেয়ে স্নাতক ফাইনাল ইয়ারে পড়াশোনা করছে। তবে ইচ্ছায় চলতি বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেছেন খায়রুল বাসার। এতে তাঁর আত্মীয়-স্বজনসহ সবাই খুশি।
এ বিষয়ে খায়রুল বাসার বলেন, ‘আমার খুব ইচ্ছে ছিল ডিগ্রি পাস করা, আমার কর্ম প্রতিষ্ঠান সে সুযোগ করে দিয়েছে। আমার পরিবারের লোকজন আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। আমার স্ত্রী আমাকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছেন, সাহস দিয়েছে, আমার সন্তানের আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। আমিও চেষ্টা করেছি, তাই আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেছ আপনার মেয়ে ও আপনি একেই ক্লাসে পড়াশোনা করছেন, এতে আপনার খারাপ লাগে না? আমি তাদের বলেছি পড়াশোনার কোন বয়স নেই। যে কেউ যেকোনো সময় পড়াশোনা করতে পারে। আমি সবাইকে উৎসাহ দিতে চাই। যদি আপনার মনে পড়াশোনা ইচ্ছা থাকে তাহলে আজই শুরু করে দিন পড়াশোনা। আমি ডিগ্রি পাস করায় আমার পরিবার আত্মীয়-স্বজন খুবই খুশি।’