নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এসএসসি পরীক্ষা শেষে মেয়েকে (১৬) নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শিক্ষক বাবা। পথে বখাটেদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তিনি হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) দিবাগত রাতে ওই শিক্ষক বাদী হয়ে মামলা করেন। এর আগে ওই দিন সকালে উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীদের বাড়ি কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কেট্টা গ্রামে। ওই মেয়ে চলতি বছর এন ভাউরতলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়। তার বাবা স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অভিযুক্তের নাম মোস্তাকিন (১৭)। সে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী নগুয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। মামলায় মোস্তাকিনের নাম উল্লেখসহ তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছে মোস্তাকিন। ঘটনার দিন মেয়ের পরীক্ষা ছিল গুজিরকোনা কেন্দ্রে। পরীক্ষা শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে মোস্তাকিন আরও দু-তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে অশ্লীল ভাষা উচ্চারণ করে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে থাকলে তিনি প্রতিবাদ করেন।
এ সময় তারা রাস্তার পাশে থাকা ইট নিয়ে ওই শিক্ষককে নাকে ও কপালে আঘাত করে জখম করে। তখন তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা খুনের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় রাতেই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় বিচারের দাবি করেছে ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ওই শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।