আগে চাঁদা শামীম ওসমানের লোকেরা নিত; এখনো কেউ না কেউ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিবিরোধী যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের তারুণ্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছি, তা গণ-অভ্যুত্থানের পরের ১৫ মাসেও পূরণ হয়নি। আগামীতে বাংলাদেশ কোন দিকে এবং কীভাবে পরিচালিত হবে, তার ফয়সালা হবে এই নির্বাচনে।
‘তাই ছাত্র-জনতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—আপনারা নির্বাচনে কাদের ভোট দেবেন। ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে দেশের ভালো হবে। পেশিশক্তি, কালোটাকার মাফিয়া ও দুর্বৃত্তদের পেছনে স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ।’
নুর আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য সংগ্রামী ও সাহসী তরুণ রয়েছেন, যাঁরা শামীম ওসমানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাসিনার পতনের জন্য লড়াই করেছেন। মানুষের সমর্থন পেলে তাঁরাই আগামী দিনের জনপ্রতিনিধি হবেন।
রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন দলের নেতারা মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই মাদকের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়। শুধু ব্যক্তি পাল্টায়, দৃশ্যপট পাল্টায় না।
‘নারায়ণগঞ্জের কলকারখানা ও শিল্পমালিকদের কাছ থেকে আগে শামীম ওসমানের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকেরা চাঁদা নিত। এখনো কেউ না কেউ চাঁদা নিচ্ছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট দরকার। কিন্তু কেউ সেটি চায় না। কারণ, সবাই ভোটকেন্দ্র দখল করার জন্য, গুন্ডামি, মাস্তানি করার জন্য তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায়।’
এখন পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ কারও সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেনি জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থা ও দেশের পরিবর্তনের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বিবেচনার পর আমরা জোটের কথা ভাবব।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ সাব্বিরের সভাপতিত্বে ও ছাত্র অধিকারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান রাজের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।