নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার লক্ষীপাশা চৌরাস্তায় বাস কাউন্টারের সামনে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হুমায়ুন ঠাকুরের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরাস্তা ঢাকা বাস কাউন্টারের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। হুমায়ুন ঠাকুর লোহাগড়া পৌরসভার কচুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায়। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পরদিন বুধবার থানায় একটি মারামারির মামলা হয়। যা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। মামলার পরে পুলিশ লোহাগড়া পৌরসভার রাজুপুর গ্রামের হায়াতুর শেখ ও হামীম শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক ভ্যান চালককে মারধরের জেরে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা কাউন্টারের সামনে উপজেলার রাজাপুর ও কচুবাড়িয়া এলাকার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আব্দুল্লাহ ঠাকুর ওরফে শিপলা ও তাঁর বাবা হুমায়ুন ঠাকুর ও রুমান কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা।
পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। হুমায়ুন ঠাকুরের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।