নওগাঁ শহরের যানজট নিরসনে এক বছর আগে বালুডাঙ্গা বাস টার্মিনালের সড়ক চার লেনে প্রশস্ত করা হয়। কিন্তু সড়ক প্রশস্ত করেও যানজটের সমস্যা নিরসন হচ্ছে না। সড়কের দুই পাশ দখল করে যত্রতত্র বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখায় দেখা দিচ্ছে যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারীরা।
জানা গেছে, শহরের যানজট নিরসনে আশির দশকে শহরের বালুডাঙ্গা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি স্থানান্তর করা হয়। এই টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় বাস চলাচল করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০০ বাসের চালক, সুপারভাইজারসহ কয়েক হাজার শ্রমিক এই টার্মিনালে কাজ করেন। প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা স্বল্পতা হওয়ায় টার্মিনালে সব সময় ভিড় লেগে থাকে। যানজট নিরসনে এক বছর আগে বাসস্ট্যান্ড থেকে বরুনকান্দি মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক চার লেনে প্রশস্ত করে সড়ক বিভাগ। প্রশস্তকরণের পরও পথচারীদের জন্য সড়কটি তেমন কোনো কাজে আসছে না। প্রশস্ত করা সড়কের দুই পাশ দখল করে বাস, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ওয়ার্কশপের কাজ সড়কের ওপর করা হয়ে থাকে। এতে সব সময় যানজট লেগে থাকে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় পথচারীদের।
শহরের বরুনকান্দি এলাকার ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আগে সড়কটি সরু ছিল। এখন প্রশস্ত করা হয়েছে। সড়কের দুই পাশ দখল করে বিভিন্ন যানবাহন রাখা হয়। এ কারণে যানজট লেগে থাকে। ফলে প্রশস্ত করার পরও পথচারীদের কোনো কাজে আসছে না।’
পথচারী জাকির হোসেন বলেন, ‘রাস্তার দুই পাশ যানবাহনের দখলে। প্রশাসনের নীরবতার কারণে এই সমস্যাটি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ, দ্রুত সময়ের মধ্যে দখল করা স্থানগুলো ফাঁকা করে মানুষের চলাচলের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হোক।’
নওগাঁ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল মোস্তফা বলেন, ‘বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের জায়গার স্বল্পতা রয়েছে। বাসস্ট্যান্ডের পেছনে পৌরসভার জায়গা রয়েছে, সেটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন পৌরসভার ময়লা-আর্বজনা ফেলা হয়। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ চালক ও শ্রমিকেরা। বাস রাখার জায়গার স্বল্পতার কারণে বাধ্য হয়ে সড়কের ওপর রাখতে হয়।’
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ‘সড়কের ওপর যানবাহন না রাখতে ইতিমধ্যে কয়েকবার মাইকিং করে সচেতন করা হয়েছে। মাইকিং করার পর কিছুদিন ফাঁকা থাকে। পরে আবারও একই চিত্র দেখা যায়। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’