নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় এক বৃদ্ধকে ধাক্কা দিয়ে খাদে ফেলে হত্যার মামলায় শহিদুল ইসলাম (৫৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার সুটকিগাছা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ রোববার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আত্রাই থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বৃদ্ধ হলেন রায়পুর গ্রামের মৃত নমির উদ্দীনের ছেলে আহম্মদ আলী প্রামাণিক (৬৫)। গ্রেপ্তার শহিদুল একই গ্রামের মৃত অছিম উদ্দীনের ছেলে।
নিহত বৃদ্ধের স্বজনেরা জানান, চুরির অপবাদ দিয়ে গত সোমবার রাতে প্রতিবেশী বৃদ্ধ আহম্মদ আলীর ছেলের বউ জোবেদা বিবিকে মারধর করেন শহিদুল ও তাঁর স্বজনেরা। এ ঘটনার পর গত শুক্রবার রাতে অজ্ঞাতনামা লোকজন শহিদুলের বাড়িতে মানুষের মল ছিটিয়ে দেন। এর জেরে শুক্রবার রাতেই শহিদুল, তাঁর ভাই আব্দুল মান্নান ও ভাতিজা রাজু-সাজু বৃদ্ধ আহম্মদ আলীকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর করেন। এ সময় সেখানে লোকজনের ভিড় জমে যায়।
মারধরের একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে আহম্মদ আলীকে বাড়ির সামনে উঠান থেকে পাশের খাদে ফেলে দেন তাঁরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আহম্মদ আলী। খবর পেয়ে শনিবার ভোরে পুলিশ আহম্মদ আলীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আহম্মদ আলীর ছেলে মজনু প্রামাণিক বাদী হয়ে শহিদুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।
এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আহম্মদ হত্যা মামলার আসামি শহিদুল ইসলাম সুটকিগাছা এলাকায় অবস্থান করছেন—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মামলার প্রধান আসামি শহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।