ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। ২৫, ২৬ ও ২৭ মে কবির জন্মজয়ন্তী উৎসব পালিত হবে। এ বছর কবির জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান, কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার।’
কবির শৈশব স্মৃতিবিজড়িত দরিরামপুর হাইস্কুলকে (সরকারি নজরুল একাডেমি) কেন্দ্র করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া নজরুল একাডেমি মাঠে নজরুল মেলা ও ত্রিশাল প্রেসক্লাব কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করবে।
রোববার (২৫ মে) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। সভাপতিত্ব করবেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ।
সোমবার (২৬ মে) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) এম এ আকমল হোসেন আজাদ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সমাপনী দিনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী বলেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের সকল কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আমরা এর শুভ উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি। কবির বাল্যস্মৃতি বিজড়িত দুটি স্থান কাজীর শিমলার দারোগা বাড়ি ও নামাপাড়া গ্রামের বিচুতিয়া ব্যাপারী বাড়িতে স্থানীয়ভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের আসানসোল থেকে কাজী নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাজীর শিমলা গ্রামের দারোগা রফিজ উল্লাহর বাড়িতে আসেন। এখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর ত্রিশালের নামাপাড়া গ্রামে রফিজ উল্লাহর এক আত্মীয় বিচুতিয়া ব্যাপারী বাড়িতে জায়গির হিসেবে চলে যান।
তাই ত্রিশালের প্রায় পুরো এলাকা কবি নজরুলের বাল্য স্মৃতিবিজড়িত স্থান হিসেবে স্বীকৃত। জাতীয় পর্যায় কবির জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য ত্রিশালবাসী আন্দোলন করলেও পরে তা স্থানীয়ভাবে পালনের উদ্বেগ নেওয়া হয়।