ময়মনসিংহের ভালুকায় ভাবি, ভাতিজি ও ভাতিজাকে গলা কেটে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশনের কাছ থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা পৌর শহরের পনাশাইল এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার (২৫), তাঁদের মেয়ে রাইসা আক্তার (৭) ও ছেলে নীরব হোসেনের (২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে রফিকুলের ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন ময়না আক্তারের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম। এতে আরও ১-২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
ভাড়া বাসার দুটি রুমে স্ত্রী সন্তান ও ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে নিয়ে বসবাস করতেন রফিকুল ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের সন্তু মিয়ার ছেলে। আর ময়না ভালুকা উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের পায়লাবর চৌরাস্তা গ্রামের আফতাব উদ্দিনের মেয়ে। রফিকুল ইসলাম ভালুকার রাসেল স্পিনিং মিলে শ্রমিকের চাকরি করেন।
ঘটনার রাতে রফিকুল ইসলাম ডিউটিতে গিয়ে সোমবার সকালে এসে ঘরের দরজায় তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে স্ত্রী সন্তানদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। দুই রুমের বাসার পাশের রুমে থাকা তাঁর ছোট ভাই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ। যাঁকে আড়াই মাস আগে ৪০ হাজার টাকা দেনা করে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছিল রফিকুল। নজরুল গাজীপুরের একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে দুই বছর ধরে জেলে ছিলেন। ছাড়িয়ে আনার পর ভাইকে নিয়েই একসঙ্গে বসবাস করতেন।
জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশনের কাছ থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রধান আসামি নজরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে ভালুকা থানায় আনা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মামলার সূত্র জানা যাবে।