আতিক হাসান (২৮) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কপালহর গ্রামের মো. সুলতান উদ্দিনের ছেলে। ৮ বছর ধরে ছিলেন সৌদি আরবে। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী আতকাপাড়া গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে।
এ থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কথা ছিল দেশে এসেই ওই কিশোরীকে বিয়ে করবেন। গত জুনে আতিক হাসান সৌদি থেকে বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু দেশে এসেই বাঁধে বিপত্তি।
কিছুদিন পর পরিবারের সম্মতিতে নিজের অমতে বিয়ে করেন উপজেলার নান্দাইল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে। বিয়ের এক মাস না যেতেই বউয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয়। এ অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে ঘটে বিপত্তি। নববধূকে ঘরে রেখে আতিক হাসান চলে যান প্রেমিকার বাড়িতে। পড়েন সেখানে আটকা। নববধূ স্বামী আতিক হাসানকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে খবর পান পাশের আতকাপাড়া গ্রামে তিনি আটক আছেন।
নববধূ সেখানে গিয়ে স্বামীকে ফেরাতে পারেননি। আতিক কোনো অবস্থাতেই প্রেমিকার বাড়ি থেকে আসতে চায়নি। পরে বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন নান্দাইল মডেল থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ আতিক হাসানকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার ‘প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক নেই’ মর্মে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পান।
নববধূ বলেন, ‘স্বামী আতিক হাসান বিয়ের পর থেকে বলে আসছে, আমাকে পছন্দ হয়নি, পরিবারের মতে বিয়ে করেছি। বুধবার আমাকে ঘরে রেখে প্রেমিকার বাড়ি গভীর রাতে চলে গেছে। খোঁজ পেয়েও আমি ফেরাতে পারিনি। বাধ্য হয়ে পুলিশের মাধ্যমে ফেরানো সম্ভব হয়েছে।’
নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রেমিকের সঙ্গে আতিক আর যোগাযোগ করবে না বলে মুচলেকা দিয়েছে। এ জন্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।