‘সারাডা জীবন থাকা নিয়ে কষ্ট করছি। কত জায়গায় যে রাত কাডাইছি কবার পামু না। এহন শেষ জীবনে শেখ মুজিবের মেয়া আমারে এডা ঘর দিছে। এই ঘরডাতেই আমি আমার শেষ জীবনডা শান্তিতে থাকবের চাই।’ আবেগাপ্লুত কণ্ঠে মনের কথাগুলো বলছিলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুজা মিয়া। চোখে দেখতে না পেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরের আলোয় আলোকিত হয়েছেন তিনি। শত দুঃখের মাঝে এই ঘরে এখন শান্তির ঘুম দেন তিনি ও তাঁর পরিবার।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুজা মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে শণের ঘরে থাকতাম। বৃষ্টি হলে পানি, বাতাস হলে ঘরসহ নড়াচড়া করত। এখন প্রধানমন্ত্রী আমারে ঘর দিছে। দুই মেয়ে আর বউ নিয়ে এহন শান্তির ঘুম দেই। এখন আমার আর কোনো চিন্তা নাই।’
একই সঙ্গে ঘর পেয়েছেন জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ডুমুরতলা গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ৭০ বছর বয়সী স্ত্রী ছমেলা বেগম। তিনি জানান, এত দিন ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছিলেন জরাজীর্ণ একটি ঘরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে এখন সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন তাঁরা।
ঘর উপহার পাওয়া শাহজাহান জানান, ‘আগে ঘরবাড়ি ছিল না, এখন নতুন ঘর পাইছি। ২৫-৩০টা হাঁস-মুরগি পালন করি, বাড়ির সামনে একটু সবজি লাগাইছি। এখন খুব সুখে-শান্তিতে আছি।’
বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, এ পর্যন্ত বকশিগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ২১২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘর ছাড়া একজন ব্যক্তিও থাকবে না। সরকারের এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।