জাতীয় কবির নামে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) কবির ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে নজরুল ভাস্কর্যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় কবির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাঁর পরিবারের কল্যাণ কামনা করে উপাচার্য জাহাঙ্গীর আলম তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের যেসব সৃষ্টিকর্ম আছে, তা থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করে বাস্তবজীবনে প্রতিফলিত করতে হবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘কবি নজরুলকে নিয়ে যে ধরনের গবেষণা হওয়া দরকার, তা হয়নি। তাঁকে নিয়ে গবেষণা করার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ আছে, তারা কাজ করছে। এ ছাড়া গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের মাধ্যমেও নজরুলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এখনো কোনো গবেষণা হয়নি, সেগুলো নিয়ে গবেষণা করে আমাদের জ্ঞানভান্ডারে যোগ করতে হবে।’
কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, চারুকলা অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, রবীন্দ্র-নজরুল মৃত্যুবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটি-২০২৫-এর সভাপতি এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী, বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট ড. মো. সাইফুল ইসলামসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতম এবং বাদ যোহর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মো. আব্দুল হাকীম।
দ্রোহ, মানবতার প্রেম ও সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের আজকের এই দিন ১২ ভাদ্র মারা যান। ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের এই প্রাণপুরুষের প্রাণপ্রদীপ নিভে যায়। তাঁর জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ডুমুরিয়া গ্রামে। ‘দুখু মিয়া’ ডাকনামের এই বিদ্রোহী কবিকে শৈশব থেকেই কঠিন দারিদ্র্য মোকাবিলা করে বড় হতে হয়েছে।