নান্দাইল-হোসেনপুর সড়কের নান্দাইল অংশে ৮ কিলোমিটার সড়কজুড়ে শত শত ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে কোথাও এক ফুট, কোথাও পাঁচ ফুট আবার কোথাও বিশাল অংশজুড়ে তৈরি হওয়া গর্তে পানি জমে পুকুরের আকার ধারণ করেছে। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চালক, যাত্রীসহ দুই উপজেলার জনসাধারণকে। সড়কে গর্ত থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এই সড়ক দিয়ে নান্দাইল থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল করে প্রতিদিন।
নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নান্দাইল-বাকচান্দা আট কিলোমিটার সড়কের মধ্যে নান্দাইল থেকে জামতলা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং নান্দাইল থেকে বাকচান্দা পুরো আট কিলোমিটার সড়ক ১১ কোটি টাকার ইস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
জানা গেছে, নান্দাইল পৌর সদর থেকে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নান্দাইল-হোসেনপুর সড়ক নামে পরিচিত। এর মধ্যে নান্দাইল অংশে আট কিলোমিটার সড়ক খুবই বেহাল। নান্দাইল সদর থেকে জামতলা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের অবস্থা একেবারেই নাজুক। গত ১০ বছরেও সেটি সংস্কার হয়নি। একই সড়কের জামতলা থেকে বাকচান্দা পর্যন্ত বাকি পাঁচ কিলোমিটার সড়ক চার বছর আগে সংস্কার হলেও ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পুরো সড়কই খানাখন্দে ভরা।
অটোচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘ভাইরে, রাস্তার কথা কী কইবাম! গর্ত আর গর্ত। এই রাস্তা দিয়া যাইতেই মন চায় না। তার পরও পেটের দায়ে বের হইছি। নতুন অটো গাড়িটা গর্তে পড়ে পড়ে ঝক্কর-ঝক্কর হয়ে গেছে।’
পুড়াবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সড়কের পাশের দোকানদার মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘আমার দোকানের পাশেই দেখেন কত বিশাল গর্ত তৈরি হয়ে পানি জমে আছে। পৌরসভার অংশ হওয়ায় অনেক বলাবলির পরে পৌরসভা থেকে নামমাত্র কিছু ইট বিছিয়ে রেখে গেছে, তার পরেও পানি জমে আছে। এখানে অনেক সময় আমার দোকানের কর্মচারীরা গিয়ে অটোরিক্সা পড়ে গেলে তুলে দিয়ে আসে।’
নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। ইতিমধ্যে প্রথমে তিন কিলোমিটার এবং পরে পুরো আট কিলোমিটার সড়কের দুইভাবে ইস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করে দেব।’