পূর্বধলা (নেত্রকোনা): গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে নেত্রকোনা পূর্বধলা সদর উপজেলায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কার্যালয়ে পানি উঠে গেছে। আজ বুধবার এমন পরিস্থিতির জন্য এসব দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে।
টানা বৃষ্টির ফলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অন্তত ৭টি কার্যালয়ে পানি উঠেছে। অতিবৃষ্টির কারণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন সদরে বসবাসরত বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তলিয়ে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল, মাছের খামার ও বীজতলা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের নীচতলায় অবস্থিত উপজেলা সমবায় কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, সমাজসেবা কার্যালয়ে পানি উঠে গেছে। ওই দপ্তরের কক্ষগুলোতে সারা দিনই প্রায় হাঁটু পরিমাণ পানি ছিল। ফলে ওই দপ্তরগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানু লাল চাকী জানান, তার কার্যালয়টি উপজেলা পরিষদের চত্বরের চেয়ে প্রায় আধা ফুট নিচু। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়। এই দুদিনের অতি বৃষ্টিতে অফিসে প্রায় এক ফুট পানি উঠে গেছে। তাই অফিস খোলা সম্ভব হয়নি। পানিতে আসবাবপত্রের অর্ধেক পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
উপজেলার মৌদাম গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, অতি বৃষ্টিতে তাঁর মাছের খামার তলিয়ে গেছে। এতে তাঁর অনেক মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলা সদরের বালিকা বিদ্যালয় রোডের বাসিন্দা আব্দুল মোমেন জুয়েল বলেন, অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার ফলে তাঁর জমির আমন ধানের বীজ তলিয়ে গেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন জানান, পৌরসভা না থাকায় উপজেলা সদরে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে উঁচু করে স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। তা ছাড়া পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এ কারণে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনে উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে সকাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।