মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও টি কোম্পানির আওতাধীন সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী—তিনটি চা-বাগানের শ্রমিকেরা ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া পরিশোধের দাবিতে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি দিয়ে মানববন্ধন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সাতগাঁও চা-বাগানের দুর্গামন্দির গেটসংলগ্ন সড়কে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মবিরতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাজল কালিন্দী, সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী, মাকড়িছড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাশী নারায়ণ গড়, সাধারণ সম্পাদক বিমল সাঁওতাল, ইছামতী পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য স্বাধীন চাষা, পঞ্চায়েত সদস্য মন্টু কুর্মী, ইউপি সদস্য ঈশ্বর কালিন্দী, নারী ইউপি সদস্য শান্তনা বাড়াইকসহ শ্রমিক নেতারা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ভবিষ্যৎ তহবিলে জমা দেওয়া হচ্ছে না। উপপরিচালক (ডিডিএল) কার্যালয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও মালিকপক্ষ আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করে যাচ্ছে।
সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী জানান, ১৭ মাস ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমা হয়নি। এর আগেও ৯ মাসের বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা হলেও তা পালন করা হয়নি। শ্রমিকদের সীমিত আয়ের এই প্রভিডেন্ট ফান্ডই তাঁদের একমাত্র সঞ্চয়। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন এবং সরকারের ত্বরিত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, ৯ মাস বকেয়ার সময় ব্যবস্থাপক তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রায় ১৭ মাস পার হয়ে গেছে, তবুও বকেয়া রয়ে গেছে। মালিকপক্ষের টালবাহানা বন্ধ না হলে শ্রমিকেরা আরও কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন।
এ বিষয়ে সাতগাঁও চা-বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ধাপে ধাপে প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা পাঠানো হচ্ছে এবং আগামী জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।