জামিন পেয়ে ফেরার পথে আদালত চত্বর থেকে নুরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে মামলার বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মামলার আসামি নুরুজ্জামানকে টেনেহিঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেন তাঁরা।
খবর পেয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাঁশবাড়িয়া থেকে ঢাকা মেট্রো-চ-৫৩-৮২০০ নম্বরের মাইক্রোবাস থেকে নুরুজ্জামানকে উদ্ধার ও গাড়িতে থাকা ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। এঁদের মধ্যে নুরুজ্জামানকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি ১০ জনকে সদর থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আদালত চলাকালে কিছু লোক একজনকে বেদম মারধর করে আদালত চত্বরের থাকা একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এ সময় কিছু লোক তাঁদের ঠেকাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। ওই ব্যক্তিদের চেনে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে খবর পেয়ে গাংনী বাঁশবাড়িয়া থেকে মাইক্রোবাসসহ অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের লিটল হোসেন (৪২), জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মিঠুন আলী (৩২), জিয়ারুল ইসলাম (৪৫), রামদেবপুর গ্রামের পারভেজ মোস্তাক (৫১), আসাদুল ইসলাম (৪৫), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তেকালা গ্রামের জিন্নাত হোসেন (৩২), সাপাত আলী (৫০), রাজ্জাক (৬৫), পরাগপুর বীরগাছী গ্রামের শিপলু (৪৫) ও মাইক্রোবাসের চালক হোসেন আলী (২৫)।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবা উদ্দীন জানান, এ ঘটনায় থানায় অপহরণ মামলা করা হয়েছে। আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় নুরুজ্জামানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।