লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শরিফুল ইসলাম শরীফ নামে ১৪ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গোলাম রব্বানী (৪৫) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার ওই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার উত্তর পারুলিয়া বটতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত রোববার রাতে উপজেলার উত্তর পারুলিয়া বটতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরদিন বিকেলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম পলাশ বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
গ্রেপ্তার গোলাম রব্বানী উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। এ ছাড়া সে উত্তর পারুলিয়া বটতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
জানা গেছে, তিন বছর ধরে উত্তর পারুলিয়া বটতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী হাফিজিয়া পড়ছে। গত রোববার রাতে শিক্ষক গোলাম রব্বানী ওই শিক্ষার্থীকে তাঁর রুমে ডেকে নেন। এরপর সেখানে ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন। পরের দিন সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় ভাই বলেন, ‘আমার ছোট ভাই সকালে বাড়িতে এসেই কান্নাকাটি শুরু করে। পরে এ নিয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সে ওই ঘটনাটি খুলে বলে। তার কাছ থেকে এসব শুনেই আমি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিই। শুধু আমার ছোট ভাইকে নয়। এর আগে এমন আরও ঘটনা সে ঘটিয়েছে অনেক শিক্ষার্থীর সাথে।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ‘মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গোলাম রব্বানী নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁকে লালমনিরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’