হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট): লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রতিবেশীর ছাগল বেঁধে রাখায় খাদীজা বেগম নামের এক গৃহবধূকে মারধর করে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব বেজগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহবধূর স্বামীর নাম নূরুল ইসলাম। এ ঘটনায় আহতের স্বামী নূরুল ইসলাম ও শাশুড়ি আমিনা বেগম গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে শসা আবাদ করেছি। এলাকার জোনাব আলী মুন্সির ছেলে আবু তালেবের ছাগল এসে শসার গাছ ও শসা খেয়ে ফেলে। তা দেখে আমার স্ত্রী খাদিজা ছাগলটি ধরে বেঁধে রাখে। এ সময় আবু তালেব, তাঁর ছেলে সাইয়াকুল, কুদ্দুস আজিজ বাড়ি এসে আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এতে তাঁদের সঙ্গে আমার স্ত্রীর বাগ্বিতন্ডা হয়। আমি বাড়ির পাশের খেতে ধান কাটছিলাম। চিৎকার শুনে সেখানে এসে বাধা দিই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং আমার স্ত্রী ও আমার মাকেও বেধড়ক মারধর করে। এ সময় ধারালো ছুরি দিয়ে আমার স্ত্রীর ডান হাতের বুড়ো আঙুল কেটে ফেলে আবু তালেবের ছেলেরা। পরে স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এতে আমার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে জানতে অনেক যোগাযোগ করেও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম ঘটনাটি সম্পর্কে এখনো অবহিত নন জানিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’