আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর আতর মেখে মুজিব কোট পরা নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। গতকাল সোমবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
নিত্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি-দুঃশাসন, খুন, গুম, হত্যা ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় এই জনসভার আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘খালেদা জিয়া বন্দী মানে আজ দেশের মানুষ বন্দী। গোটা দেশে হাহাকার উঠে গেছে। তাই দেশের মানুষ ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে। যাঁরা মুজিবকোট পরে আতর মেখে বেড়াচ্ছেন, আগামী ১০ (ডিসেম্বর) তারিখের পর তাঁদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
দুলু বলেন, ‘জেলখানায় খালেদা জিয়াকে রেখে অনেক উপহাস করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। যেদিন আওয়ামী লীগ নেতাদের পায়ে শিকল চড়বে, সেদিন বুঝবে কত ধানে কত চাল। এরই মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে তাঁদের মারামারি শুরু হয়ে গেছে। দলীয় পদ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা চেয়ার দিয়ে মারামারি করছেন। দেশের মানুষ বিনা ঘুষে চাকরি চায়, স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে চায়।’
এ সময় দুলু আরও বলেন, ‘রাতের আঁধারে ক্ষমতায় আসা এই আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে একজন খুনির জামিন হয়, ধর্ষণকারীর জামিন হয়, কিন্তু একটা দেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জামিন হয় না। বিচার বিভাগকে স্বাধীনের কথা বললেও তারা বিচার বিভাগকে নিজেদের আয়ত্তে রেখে হিংসার রাজত্ব কায়েম করছে।’
লালমনিরহাট সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম মমিনুল হকের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান ভিপি আনিছ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তারসহ ৯টি ইউনিয়নের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এর আগে বিকেল থেকে সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের হাজার হাজার নেতা-কর্মী আসতে শুরু করেন এবং সন্ধ্যার মধ্যেই বড়বাড়ী শহীদ আবুল কাশেম উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়ে যায়।