ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশের দহগ্রাম ইউনিয়নে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক তিনবিঘা করিডরে আসেন। এ সময় বাংলাদেশিদের চলাচলের এ সড়ক পৌনে দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এতে গেটের দুই দিকে শত শত নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ ও দর্শনার্থী আটকা পড়ে। প্রখর রোদে চরম ভোগান্তিতে পড়ে তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকালে বিএসএফের বিশেষ হেলিকপ্টারে করে তিনবিঘা হেলিপ্যাড মাঠে নামেন। নেমে কোচবিহার জেলার তিনবিঘা করিডর সড়কপথে পরিদর্শনে এলে তাঁকে স্বাগত জানান বিএসএফের ডিজি পঙ্কজ সিং, ভারতের উত্তরবঙ্গের আইজি অজয় কুমার সিং, কোচবিহারের জেলা শাসক পবন কাদিয়ান, পুলিশ সুপার সুমিত কুমার।
এ সময় ভারতীয় ৬ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা করিডরের চারদিকে শামিয়ানা দিয়ে ঘিরে রাখেন। করিডরে বিএসএফের বৈঠকখানা/কনফারেন্স কক্ষে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন অমিত শাহ। বৈঠকে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজেপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনবিঘা করিডর এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। করিডর এলাকায় তিনি একটি গাছ রোপণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী, স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
দহগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসায় হাজারো মানুষ খুব সমস্যায় পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা সাধারণ জনগণের চলাফেরা বন্ধ করে দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে লোকজন দুর্ভোগে পড়ে।’
একই ইউনিয়নের সর্দারপাড়া এলাকার বৃদ্ধ আবুল হোসেন (৭০) বলেন, ‘ভারতের মন্ত্রী এলে কি বাংলাদেশিদের চলাফেরা করা যাবে না? অটো ভ্যানগাড়িতে বহুক্ষণ ধরে বসে আছি।’
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসায় দহগ্রাম তথা বাংলাদেশিদের চলাচলের সড়কটি বন্ধ করে দেওয়ায় হাজার হাজার লোক চরম ভোগান্তিতে পড়ে। সড়ক বন্ধ রাখা হবে—বিষয়টি আমাদের আগে জানালে মাইকিং করে নির্দিষ্ট সময়ের পরে আসতে বলতাম। এতে মানুষের সমস্যা হতো না।’