অবৈধ ও ভারী যানবাহন চলাচল করলে গ্রামীণ সড়ক দ্রুত ভেঙে যায়। তাই ভারী যানের চলাচল ঠেকাতে সড়কের মাঝে ও পাশে পুঁতে রাখা হয়েছ মোটা গাছের খুঁটি। এতে সড়ক বাঁচলেও ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল। বেড়েছে দুর্ঘটনা ও জীবনের ঝুঁকি। এই চিত্র কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা মোড় এলাকায়।
আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা-ঘাঁসখাল সড়কের বাটিকামারা মোড় এলাকায় গ্রামীণ সড়কের মাঝে একটি মোটা গাছের খুঁটি পুতে রাখা হয়েছে। ঠিক সোজাসুজি সড়কের পাশে আরেকটি চিকন গাছের খুঁটি। দুই খুঁটির মাঝ দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছে। অনেক সময় ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন।
এ সময় কথা হয় ভ্যানচালক মতিয়ার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সড়কের প্রায় মাঝখানে ও একপাশে দুইটি খুঁটি গাড়া (পোঁতা)। যার একপাশে বেশি জায়গা ও একপাশে কম জায়গা। আমার চলাচলের পাশে লাটাহাম্বা (অবৈধ থ্রি হুইলার) ঢুকে পড়েছে। তাই ট্রাফিক নিয়ম ভেঙে ফাঁকা পাশ দিয়ে গিয়েছি। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি ছিল।’
এলাকাবাসী ও সদকী ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বালু ও মাটিভর্তি ড্রাম ট্রাক, ভারী যানবাহন ও অবৈধ শ্যালোইঞ্জিনচালিত যানবাহনগুলো গ্রামীণ সড়কে যত্রতত্র চলাচল করে। এতে সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয় ও ভেঙে যায়। সে জন্য সড়ক বাঁচাতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খুঁটি পুতে রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, সড়ক বাঁচাতে খুঁটি পুতে রাখা হয়েছে। এতে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা ও জীবনের ঝুঁকি। খুঁটি অপসারণ করে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সমাধান হওয়া দরকার।
কুমারখালী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা সমন্বয় সভায় চেয়ারম্যানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খুঁটি পুতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সড়কে মোটা খুঁটি পুতে রাখা ঠিক নয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘গ্রাম সড়ক বাঁচাতে বারপোষ্ট দেওয়া যেতে পারে। তবে খুঁটি থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’