গাভির সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৯ দিন বয়সী একটি বাছুরও। খামারমালিক হারুনুর রশিদ বলছেন, বাছুরটি প্রতিদিন প্রায় আধা লিটারের মতো দুধ দিচ্ছে। অনেকে বাছুরটি দেখতে আসছেন। কেউ দাঁড়িয়ে দুধ দোহন দেখছেন আবার কেউ মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশী গ্রামে হারুনুর রশিদের খামারে জন্ম হয় বাছুরটির। খামারিসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জন্মের পর থেকে বাছুরটি দুধ দিচ্ছে।
খামারি হারুনুর রশিদ জানান, তাঁর একটি গাভি প্রথমবার একটি বকনা বাছুর জন্ম দিয়েছে। জন্মের পর দেখেন—বাছুরটির ওলান অন্য বাছুর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বয়সের তুলনায় অনেকটা বড়। পরে ওলানে হাত দিয়ে দেখেন দুধও আসে। ঘটনাটি তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের জানান। তাঁরাও এসে দেখে গেছেন।
হারুনুর রশিদ বলেন, প্রতিদিন বাছুরটি প্রায় আধা লিটার দুধ দিচ্ছে। এই বাছুরের দুধ দেখতে ও স্বাদেও গাভির মতোই। তিনি আরও বলেন, ‘এই বাছুরের দুধ আমি নিজেও খেয়েছি, আমার সন্তানদেরও খাইয়েছি।’
একই এলাকার বাসিন্দা সাবেক সেনাসদস্য মিজানুর রহমান জানান, বাছুরটি জন্মের পর থেকে দুধ দিচ্ছে শুনে হারুনের খামারে এসেছেন। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও এখন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এম এ আউয়াল তালুকদার জানান, তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। প্রলেকটিন হরমোন নির্গত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে বলে জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, এই বাছুরের দুধ পান করলে কোনো সমস্যা হবে না। গাভির দুধ দেখতে ও স্বাদ যেমন, বাছুরের দুধও তেমনই হবে।