হোম > সারা দেশ > যশোর

প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উপাদান: মডারেটর বিস্মিত, ফোন বন্ধ প্রশ্নকর্তার

যশোর ও ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

উচ্চ মাধ্যমিকের (এইচএসসি) বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষার একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের উপাদান কীভাবে থাকল তা বুঝতে পারছেন না ওই প্রশ্নপত্রের চার পরিশোধনকারীর (মডারেটর) একজন।

যিনি এই প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বে ছিলেন, ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। তবে তাঁর সহকর্মী ও এলাকাবাসী বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, তাঁর হাত দিয়ে এমন কাজ হতে পারে!

ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এই ঘটনায় ‘জড়িত বলে চিহ্নিত’ যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন পরিশোধনকারীর (মডারেটর) তালিকার এক নম্বরে আছেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন।

ওই প্রশ্নপত্রের বিষয়ে ভূমিকা জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের প্রশ্ন থাকলে তা সংশোধন করে দেওয়া হয়; অথবা কেটে নতুন প্রশ্ন সংযোজন করা হয়। কিন্তু কীভাবে, এই প্রশ্নটি রয়ে গেল তা বুঝতে পারছি না।’

এই প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বে ছিলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

প্রশান্ত কুমারের ভাই কালীপদ পাল জানান, প্রশ্নপত্রের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না তিনি। তাঁর ভাই প্রশান্ত কুমার পালের স্ত্রী ও দুই সন্তান ভারতে বসবাস করেন। মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন।

প্রশান্ত কুমার কলেজের কাছাকাছি এলাকাতেই থাকেন। এলাকায় সবাই তাঁকে চেনেন কবি হিসেবে। কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছেও তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
 
ওই এলাকার বাসিন্দা আজাদ হোসেন বলেন, ‘এলাকার সবাই তাকে ভালো মানুষ হিসেবে চেনেন। এই ঘটনা সবাইকে হতবাক করেছে।’
 
ওই কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা একসঙ্গে এই কলেজে যোগদান করেন। কখনো তাঁর (প্রশান্ত) মধ্যে খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি। তিনি সাহিত্যমনা মানুষ। তাঁর সাতটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এলাকায় যারা সাহিত্য চর্চা করেন তাঁদের সঙ্গেই ঘোরাফেরা করেন।

প্রশান্ত কুমার পাল প্রতিদিনের মতো আজ মঙ্গলবার কলেজেও উপস্থিত হয়েছিলেন, তবে বেশিক্ষণ অবস্থান করেননি বলে জানান অধ্যক্ষ।

বলাই চন্দ্র বলেন, ‘প্রশান্ত কুমার পাল একজন ভালো শিক্ষক। তাঁর হাত দিয়ে এমন প্রশ্ন কীভাবে হলো তা বুঝতে পারছি না!’

এ বিষয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্রে এমন প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও কীভাবে এ প্রশ্ন করা হলো, সেটি তদন্তের জন্য দ্রুত একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও পরিশোধনকারী পাঁচ শিক্ষকই যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

গত রোববার অনুষ্ঠিত হয় ওই পরীক্ষা। প্রশ্নপত্রের একটি সেট ‘কাসালাং’–এ সিরাজউদ্দৌলা নাটক অংশের ১১ নম্বর প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের উপাদান রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

খুলনায় গলায় ফাঁস দিয়ে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা

জামায়াতের কৃষ্ণের চ্যালেঞ্জ অনেক

প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার: হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ

‘আদালতে হাজিরা দিতে এসে লাশ হয়ে ফিরলে কার কাছে বিচার চাইব’

খুলনায় জোড়া খুন: আসামিদের ভয়ে সন্ত্রস্ত পরিবার, পুলিশের মামলা অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে

পূর্ব সুন্দরবনে অভয়ারণ্যের খালে মাছ ধরার অভিযোগে ১০ জেলে গ্রেপ্তার

গল্লামারী সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে ১ ঘণ্টা ‘অচল কর্মসূচি’

খুলনায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

খুলনায় জোড়া হত্যা: বিলুপ্ত ‘ইহুদি’ বাহিনীর সদস্য আটক

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে প্রশাসনিক ক্যুর চেষ্টা করছে: জামায়াত আমির