মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর বুকভরা আশা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়েছিলেন উপকূলীয় কয়েক হাজার জেলে। ভরা মৌসুমে ইলিশ শিকারে গেলেও লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ হওয়ায় সাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। এতে সাগরে টিকতে না পেরে খালি হাতে উপকূলের তীরে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। একদিকে সাগরে নিম্নচাপ, অন্যদিকে খালি হাতে তীরে ফিরে আসায় হতাশা বিরাজ করছে জেলে আর ট্রলারমালিকদের মধ্যে।
গতকাল রোববার দুপুরে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘাটে ফিরেছেন কয়েক শ জেলে। দুদিন আগে সাগরে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ট্রলারমালিক-জেলেরা। বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি না থাকায় জমেও উঠছে না বিএফডিসি মৎস্য ঘাট এবং মাছের আড়তগুলো।
সাগর উত্তাল দেখে ঘাটে ফিরে এসেছেন নাসির উদ্দিন নামের এক মাঝি। তিনি জানান, বরফ, তেল, বাজারসহ প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার রসদ নিয়ে ২৬ জুলাই সমুদ্রে মাছ শিকারে যান। প্রথমে নিম্নচাপের খবর পেয়েও লোকসান বিবেচনায় সমুদ্রে থাকতে চেয়েছিলেন।
নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় জীবনের মায়ায় এবং ট্রলারমালিকের জাল-দড়ির কথা ভেবে ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে তীরে ফিরেছেন। যত দিন আবহাওয়া অনুকূলে না আসবে, তত দিন উপকূলেই থাকতে হবে।
আল্লাহর দান-১ ট্রলারের মালিক ও জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সহসভাপতি মো. আবুল হোসেন ফরাজী বলেন, একদিকে ডিজেল ও মুদি মালপত্রের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে সাগরে ট্রলার নিয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে। সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া প্রত্যেক জেলের পেছনে ব্যয়বহুল খরচ। যে অবস্থা শুরু হয়েছে, তাতে মনে হয় ধীরে ধীরে সবাই এ পেশা পরিবর্তন করবে।’