কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যার তুলনায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। ৫০ শয্যার হাসা পাতালে আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১১ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০৮ জন রোগী। এর মধ্যে ২১ জনই ডায়রিয়া রোগী। এ ছাড়াও সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছেন ২৭২ জন রোগী। গত মঙ্গলবার বহির্বিভাগে সেবা গ্রহণকারী রোগীর সংখ্যা ছিল ৩২৫ জন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফারহান লাবিব। তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগীই বেশি।
ডা. মো. ফারহান লাবিব বলেন, ‘কমপ্লেক্সে শয্যার তুলনায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০৮ জন রোগী। এর মধ্যে ২১ জনই ডায়রিয়া রোগী। গত মঙ্গলবার বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা ছিল ৩২৫ জন।’
এদিকে শয্যার তুলনায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে কমপ্লেক্সে। আশানুরূপ সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সেই সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন রোগীর স্বজনেরা।
এ বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামের রিয়াজ খান বলেন, মাথায় আঘাত নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে ভর্তি হয়েছি। বেড পাইনি, তাই বারান্দায় বেড বানিয়ে আছি। খুব সমস্যা হচ্ছে। ঠিকমতো ডাক্তার আসেনা।
এলংগী এলাকার বৈশাখী খাতুন শারীরিক সমস্যা নিয়ে তিন দিন পূর্বে ভর্তি হয়েছেন। বেড না পেয়ে বারান্দায় বিছানা পেতেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে প্রচুর রোগী। থাকার জায়গা নেই। রোগী বেশি হওয়ায় সেবা কম পাচ্ছি।
এক ডায়রিয়া রোগীর স্বজন বলছে, গত সোমবার হাসপাতালে এসেছি। বেডের তুলনায় দ্বিগুণ রোগী। এতে স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। বেড বাড়ানো দরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সেবিকা বলেন, ‘রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছি আমরা। একদিক থেকে আসতে না আসতেই অন্যদিকে ডাক পড়ে। রোগীর স্বজনরা খুব ঝামেলা করছে। তাঁদের নানান অভিযোগ।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মো. ফারহান লাবিব বলেন, অতিরিক্ত রোগী থাকায় কিছুটা চাপ পড়ছে। একদিকে রাউন্ডে গেলে অন্যদিকের রোগীদের অভিযোগ। তবে আমরা চেষ্টা করছি কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের।